No menu items!

মহাত্মা হ্যানিম্যানের আজ ২৬৮তম জন্ম বার্ষিকী

Must Read

কেন একজন মানব শিশুর জীবনে প্রথম ১০০০ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ?

   কেন একজন মানব শিশুর জীবনে প্রথম ১০০০ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ?   গর্ভাবস্থায় মায়ের খাবারের মাধ্যমে শিশু যে পুষ্টি পায়...

মহাত্মা হ্যানিম্যানের আজ ২৬৮তম জন্ম বার্ষিকী

মহাত্মা হ্যানিম্যান  আজ ১০ এপ্রিল রোজ সোমবার, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার  জনক   ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর ২৬৮তম জন্মদিন । শুভ জন্মদিন...

বিশ্ব ঋতুস্রাব স্বাস্থ্যবিধি দিবস

বিশ্ব ঋতুস্রাব স্বাস্থ্যবিধি দিবস ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড প্রতিটি নারী ও কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। কিন্তু এ অতি...

মহাত্মা হ্যানিম্যান 

আজ ১০ এপ্রিল রোজ সোমবার, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার  জনক   ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর ২৬৮তম জন্মদিন । শুভ জন্মদিন হে  মহাত্মা হ্যানিম্যান । ১৭৫৫ সালের ১০ এপ্রিল তিনি  জার্মানি স্যাক্সনি প্রদেশে মিসেন শহরে জন্মগ্রহণ করেন।  ১৭৬৭ সালের ২০ জুলাই মিসেনের টাউন স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে পাঠ চুকিয়ে বিদেশি ভাষা রপ্ত করতে ১৭৭৪ সালের ২০ নভেম্বর ভর্তি হন কাস্টেন এনডল্যান্ডের স্কুল সেন্ট আফ্রাতে। তিনি খুব অল্প সময়ে ১১টি ভাষায় (জার্মান, গ্রিক, লাতিন, ইংরেজি, হিব্রু, ইতালিয়ান, সিরিয়াক, আরবি, স্প্যানিশ, ফরাসি ও চ্যালডেইক) সুপণ্ডিত হয়ে উঠেন।

গবেষক:

বিশিষ্ট গবেষক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করে  ১৭৯৯ সালের ডক্টরেট অব মেডিসিন ডিগ্রি লাভ করেন।  অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী রোগীদের সেবা প্রদান করতেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও চিকিৎসা বিষয়ক বইয়ের অনুবাদ করতেন। গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি অ্যালোপ্যাথিতে ক্ষতিকর পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখতে পান। এতে তিনি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিত্যাগ করেন। সাইড অ্যাফেক্টের কারণ নির্ণয়ের গবেষণার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সূত্র আবিষ্কৃত হয়।

সিঙ্কোনা গাছের বাকল নিয়ে গবেষণা করতে করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উদ্ভব হয়। সুস্থ মানবদেহে ওষুধ প্রয়োগ করে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ওষুধের গুণাবলী পরীক্ষা করতেন। এ ধরনের গুণাবলী যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তির মধ্যে দেখা যেত তখন তিনি তা প্রয়োগ করলে রোগটি সেরে যেত। এটাকে বলে সদৃশ বিধান বা হোমিওপ্যাথি। এভাবেই প্রাকৃতিক নিয়মে ওষুধ পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ করার চিকিৎসা বিধান প্রতিষ্ঠা করেন বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।

হোমিওপ্যাথির জন্মঃ 

পৃথিবীর কনিষ্ঠতম চিকিৎসা পদ্ধতি হল হোমিওপ্যাথি। হোমিওপ্যাথির জন্ম জার্মানীতে। বিকাশ ফ্রান্সে, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ব্রিটেনে ১৮০৫ সালে। প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দি প্যারিস কলেজ অব হোমিওপ্যাথি। এছাড়াও লন্ডন, জার্মানি এবং পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত, পাকিস্থান, শ্রীলংকা,মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের নানান দেশে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন স্বীকৃত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাজ্যে রয়েল লন্ডন হোমিওপ্যাথিক ইউনিভার্সিটি নামে একটি হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

হ্যানিম্যান নিজেকে কখনও হোমিওপ্যাথি পদ্ধতির আবিষ্কারক দাবি করেননি। তবে এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে, হ্যানিম্যানই প্রথম ব্যক্তি, যিনি সদৃশবিধানের ওপর ভিত্তি করে পূর্ণাঙ্গ বৈজ্ঞানিক এ চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তন করেছিলেন। প্রচলিত সব চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে এর নীতি ও প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। তাই তিনি নিঃসন্দেহে প্রচলিত হোমিওপ্যাথির জনক।

এ মহান ব্যক্তি ১৮৪৩ সালে প্যারিসেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest News

কেন একজন মানব শিশুর জীবনে প্রথম ১০০০ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ?

   কেন একজন মানব শিশুর জীবনে প্রথম ১০০০ দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ?   গর্ভাবস্থায় মায়ের খাবারের মাধ্যমে শিশু যে পুষ্টি পায়...

More Articles Like This